Sunday, 7 August 2016

শচীন গেমস ভিলেজে গিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের

   

 রিওতে ভারতীয় প্রতিযোগীদের সঙ্গে দেখা করলেন দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। আজ তিনি নিজেই অলিম্পিক ভিলেজে গিয়ে ভারতের অ্যাথলিটদের সঙ্গে দেখা করেন।

সচিন জানিয়েছেন, “আমি তোমাদের জন্য ১০০ কোটি ভারতবাসীর শুভেচ্ছা তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি। আমি এখানে কোনও বক্তৃতা দিতে আসিনি। আমি জানি ক্রীড়াজগতে তোমরা নিজেদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্থানে বিরাজ করছ। আর এই জায়গাটা পাওয়ার জন্য কতটা পরিশ্রম করেছ, সেটাও আমি জানি। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, গোটা দেশ তোমাদের পাশে আছে। আসরা সবাই চাই তোমরা ভালো ফলাফল কর।”

তিনি আরও বলেছেন, “আমি খেলতে গিয়ে বুঝেছি, যে কোনও খেলার পিছনে পরিশ্রম কতটা জরুরি। আমরা চাই যে অলিম্পিকের মঞ্চে তোমরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দাও। প্রতিটা সময়েই নিজেদের আরও উন্নত কর। আমার হার্দিক শুভেচ্ছা তোমাদের সঙ্গে থাকল।”
      মাল্টি ডিসিপ্লিন স্পোর্টসে শচীন তেন্ডুলকর মাত্র একবারই অংশ নিয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে কুয়ালালামপুরে আয়োজিত কমনওয়েলথ গেমসে। ওই একবারই ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ওই গেমসে। সেইবার গেমস ভিলেজে কয়েকদিন থাকতে হয়েছিল শচীনকে ভারতীয় দলের সঙ্গে। সেই স্মৃতি আজও ভোলেননি তিনি। শনিবার রিও গেমস ভিলেজে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সাফল্য কামনা করতে গিয়েছিলেন আই ও এ’র অন্যতম শুভেচ্ছাদূত শচীন। তিনি বলেন, ‘আমি ওলিম্পিক স্পোর্টসের বিশেষজ্ঞ নই। তাই কাউকে উপদেশ দিতে পারব না কীভাবে পদক জিততে হবে। প্রত্যেকেই দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি সেরে গেমসে যোগ দিতে এসেছে তাই আমি সকলের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি। গোটা দেশের শুভেচ্ছা বহন করে এনেছি। কোনও ব্যক্তি বা বিশেষ কোনও ক্রীড়াবিদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা না বললেও আমি সমবেতভাবে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। রাতে ভারতীয় হকি দলের ম্যাচ থাকায় ওরা ঘরেই মনঃসংযোগ করেন। তাই সর্দারদের দেখা পাইনি। আমার ফেবারিট ওলিম্পিক স্পোর্টস হল টেনিস এবং টেবল টেনিস। ছোটবেলায় অল্পবিস্তর ওই দুটি খেলা অনুশীলন করেছি। আমার খুব ভালো লাগে অ্যাথলেটিকস ইভেন্টও। তবে ভারত কটি পদক এবার পাবে তাই নিয়ে আমি কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাই না। অন্তত গতবারের পাওয়া ছ’টির বেশি পদক পেলেই খুশি হব।’
বিশ্বের দ্রুততম মানব জামাইকান স্প্রিন্ট কিং উসেন বোল্ট বরাবরই ক্রিকেটের ভক্ত। তিনি শচীনের খেলা খুব পছন্দ করতেন। এই প্রসঙ্গে শচীন বলেন, ‘আমি তাকিয়ে রয়েছি ট্র্যাকে বোল্টের বিদ্যুৎগতির দৌড় দেখার জন্য। গতকাল আই ও সি টমাস বাখের সঙ্গে প্রেসিডেন্টস ডিনারে আলাপ হয়েছিল। আমার সঙ্গে ছিলেন সদ্য আইওসি’র বিশেষ মনোনীত সদস্য নীতা আম্বানি এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি।’
সম্প্রতি লন্ডনে অস্ত্রোপচার হয়েছে শচীনের হাঁটুতে। তাঁর বেশি হাঁটাচলা করা বারণ। ভারতে ফিরে গিয়ে তাঁকে আবার রি-হ্যাব করতে হবে তারপর তিনি সুস্থ হলে তবেই মাস্টার্স ক্রিকেটের দিনক্ষণ ঠিক হবে।

No comments:

Post a Comment