সিটি অব গড, রিও ডি জেনিরোর ভয়ংকরতম স্থানগুলোর একটি। সেই সিটি অব গডে বেড়ে ওঠা এক অ্যাথলেটই ব্রাজিলকে এনে দিল এবারের অলিম্পিকের প্রথম সোনা। মেয়েদের জুডোর ৫৭ কেজির ইভেন্টে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছেন রাফায়েলা সিলভা। সেই সিলভা, যিনি লন্ডন অলিম্পিকের পরই অবসরে চলে যেতে চেয়েছিলেন!
না, বয়স কোনো সমস্যা ছিল না। মাত্র ২০ বছর বয়সে লন্ডন অলিম্পিকে অংশ
নিয়েছেন। কিন্তু বেআইনিভাবে প্রতিপক্ষের পা ধরায় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে
যান সেবার। এ কারণে তাঁকে বর্ণবাদের শিকারও হতে হয়। মানুষের বিদ্রূপ সহ্য
করতে না পেরে অবসরের চিন্তাও মাথায় এসেছিল তাঁর। কিন্তু কোচের পরামর্শে
মাথা থেকে সে চিন্তা ফেলে দেন। আজ বিজয়ের দিনেও পুরোনো দুঃখ শোনা গেল
সিলভার কণ্ঠে, ‘মানুষ আমাকে খোঁচা দিত। বলত আমি বানর, আমার খাঁচাতেই থাকা
উচিত। কিন্তু আজ আমি দেখিয়ে দিয়েছি, আমার স্থান ক্রীড়াঙ্গনে, আমার স্থান
জুডোতে।’
রিওর ফাভেলাবাসীর (বস্তি) উন্নত জীবনের স্বাদ দিতেই সৃষ্টি হয়েছিল সিডাডে ডি ডিউস বা সিটি অব গড। কিন্তু পালাক্রমে সেটিই এখন ফাভেলার চেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। রিওর এই অংশে বেড়ে ওঠা সিলভা পাঁচ বছর বয়সে জুডোর পাঠ নেন শুধু মজা হিসেবে। সেই সিলভাই স্বাগতিক দেশকে এনে দিলেন এ আসরের প্রথম সোনা। সিলভার চোখে তাঁর এ দৃষ্টান্ত সব ফাভেলাবাসীর জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে, ‘আজ এ খেলা দেখেছে যে শিশুরা, সবার জন্য ব্যাপারটি দারুণ। যে আমি, সিটি অব গড থেকে উঠে এসেছি, পাঁচ বছর বয়সে রসিকতা হিসেবে যে জুডো বেছে নিয়েছিল, সে–ই কিনা অলিম্পিকের সোনা বিজয়ী। তারা এখন নিজেরাও স্বপ্ন দেখবে, বিশ্বাস করবে, স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। আমি আমার এই পদক ব্রাজিলের সব মানুষ, আমার বন্ধু ও পরিবারের প্রতি উৎসর্গ করছি।’
বিশ্বের ১১ নম্বর খেলোয়াড় সিলভা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন শীর্ষ তারকা মঙ্গোলিয়ার সুমাইয়া দর্সুরানের। বিশ্বের ১ নম্বর তারকাকে হারানোর পেছনে স্থানীয় দর্শকের অবদানই দেখছেন সিলভা, ‘দর্শকে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাদের উল্লাসে ম্যাট কাঁপছিল। আমি ভাবলাম, যারা আমাকে দেখতে এসেছে, তাদের হতাশ হতে দেব না।’
ব্রাজিলের সঙ্গে ভারতের মিল অনেকটাই। অত্যাধিক ফুটবল উন্মাদনায় আর সব খেলা যেমন ব্রাজিলে চাপা পড়ে যায়, ভারতেও তেমনি অত্যাধিক ক্রিকেট উন্মাদনায় হারিয়ে যায় অসংখ্য ক্রীড়া-প্রতিভা । ব্রাজিলের মত ভারতেও ধনি-দরিদ্রের বিপুল বৈষম্য । এখানেও সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাতেই কাউকে টিকে থাকতে হয় লড়াইয়ের ময়দানে।
সঠিক ক্রীড়া-নীতির অভাবে অকালেই কতশত প্রতিভা ঝরে যায় এই পোড়া দেশে। এত কিছুর মাঝেও আমাদের
স্বপ্নের, আমাদের প্রত্যাশার প্রদীপটাকে এখনও যারা প্রজ্জলিত রেখেছে দীপা কর্মকার তাদের অন্যতম।
আগামীকাল, রিওতে জিমন্যাস্টিকসের অন্তিম লড়াই। আসুন, আমরা সবাই সমবেতভাবে দীপার জন্য সাফল্য কামনা করি। দীপা কর্মকার ভারতবাসী তোমার জন্য গর্বিত ।
রিওর ফাভেলাবাসীর (বস্তি) উন্নত জীবনের স্বাদ দিতেই সৃষ্টি হয়েছিল সিডাডে ডি ডিউস বা সিটি অব গড। কিন্তু পালাক্রমে সেটিই এখন ফাভেলার চেয়ে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। রিওর এই অংশে বেড়ে ওঠা সিলভা পাঁচ বছর বয়সে জুডোর পাঠ নেন শুধু মজা হিসেবে। সেই সিলভাই স্বাগতিক দেশকে এনে দিলেন এ আসরের প্রথম সোনা। সিলভার চোখে তাঁর এ দৃষ্টান্ত সব ফাভেলাবাসীর জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে, ‘আজ এ খেলা দেখেছে যে শিশুরা, সবার জন্য ব্যাপারটি দারুণ। যে আমি, সিটি অব গড থেকে উঠে এসেছি, পাঁচ বছর বয়সে রসিকতা হিসেবে যে জুডো বেছে নিয়েছিল, সে–ই কিনা অলিম্পিকের সোনা বিজয়ী। তারা এখন নিজেরাও স্বপ্ন দেখবে, বিশ্বাস করবে, স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। আমি আমার এই পদক ব্রাজিলের সব মানুষ, আমার বন্ধু ও পরিবারের প্রতি উৎসর্গ করছি।’
বিশ্বের ১১ নম্বর খেলোয়াড় সিলভা ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন শীর্ষ তারকা মঙ্গোলিয়ার সুমাইয়া দর্সুরানের। বিশ্বের ১ নম্বর তারকাকে হারানোর পেছনে স্থানীয় দর্শকের অবদানই দেখছেন সিলভা, ‘দর্শকে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাদের উল্লাসে ম্যাট কাঁপছিল। আমি ভাবলাম, যারা আমাকে দেখতে এসেছে, তাদের হতাশ হতে দেব না।’
ব্রাজিলের সঙ্গে ভারতের মিল অনেকটাই। অত্যাধিক ফুটবল উন্মাদনায় আর সব খেলা যেমন ব্রাজিলে চাপা পড়ে যায়, ভারতেও তেমনি অত্যাধিক ক্রিকেট উন্মাদনায় হারিয়ে যায় অসংখ্য ক্রীড়া-প্রতিভা । ব্রাজিলের মত ভারতেও ধনি-দরিদ্রের বিপুল বৈষম্য । এখানেও সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাতেই কাউকে টিকে থাকতে হয় লড়াইয়ের ময়দানে।
সঠিক ক্রীড়া-নীতির অভাবে অকালেই কতশত প্রতিভা ঝরে যায় এই পোড়া দেশে। এত কিছুর মাঝেও আমাদের
স্বপ্নের, আমাদের প্রত্যাশার প্রদীপটাকে এখনও যারা প্রজ্জলিত রেখেছে দীপা কর্মকার তাদের অন্যতম।
আগামীকাল, রিওতে জিমন্যাস্টিকসের অন্তিম লড়াই। আসুন, আমরা সবাই সমবেতভাবে দীপার জন্য সাফল্য কামনা করি। দীপা কর্মকার ভারতবাসী তোমার জন্য গর্বিত ।
No comments:
Post a Comment